বাউফল প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর বাউফলে সিভিল সার্জনের নির্দেশ উপেক্ষা করে চলছে ১০ ডায়াগনস্টিক ও প্যাথলজি সেন্টার। রিপোর্ট প্রদানের জন্য চিকিৎসক, প্যাথলজি রুমে এসি না থাকা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, অপ্রতুল যন্ত্রপাতি এবং লাইসেন্স নবায়ন না করায় গত ২৪ আগস্ট পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চিঠির মাধ্যমে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে ডাগনোস্টিকগুলো বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। যার অনুলিপি স্বাস্থ্য অধিদফরের মহা পরিচালক, পরিচালক হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ, পরিচালক স্বাস্থ্য বরিশাল বিভাগ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার পটুয়াখালী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা বাউফল কে প্রদান করা হয়।
জানা গেছে, পৌর শহরের সেবা, কথামনি ও ইসেব ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কালাইয়ার বন্দরের নুহা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কালিশুরী বন্দরের মেডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নওমালার নগরের হাট ডায়াগনস্টিক এ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, আদাবাড়িয়ার তাহসিন গ্রীন লাইফ মেডিকেল সার্ভিসেস, আদাবড়িয়ার কাশিপুরবাজার এলাকার নিউ কাশিপুর ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কনদিয়ার কনকদিয়া প্যাথলজি সেন্টার, নুরাইনপুর বন্দরের নিউ লাইফ হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলেও সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মূল্য নির্ধারণী কোন চার্ট বা সাইনবোর্ডও ঝোলানো নেই এ সকল প্রতিষ্ঠানে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫০ গজের মধ্যে থাকা ডায়াগনস্টিকগুলোতে সেবা নিতে আসা রোগীরা মানহীন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রতারিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রশান্ত কুমার সাহার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিবলেন,‘ওই প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে ইতিমধ্যে খোঁজ খবর নেয়া হয়েছে। দুই একদিনের মধ্যে তাদের সকল কার্যক্রম বিধির মধ্যে চলে আসবে।’ ইউএনও জাকির হোসেন বলেন.‘পটুয়াখালী সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে ডায়াগনস্টিক ও প্যাথলজি সেন্টার বন্ধে চিঠির অনুলিপি পেয়েছি। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমাকে এখন পর্যন্ত কিছুই জানায়নি। কোন ধরণের সহোযোগিতাও চায়নি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা বাস্তবায়নে মোবাইল কোট পরিচালনা সহ যে কোন সময় কার্যকর পদক্ষেপে নেয়া হবে।’
Leave a Reply